বিট সাংবাদিকেরা কাজ করতে গিয়ে প্রায়ই এমন সব ইঙ্গিত হাতে পান, যা দিয়ে বড় জবাবদিহিমূলক স্টোরি করা সম্ভব। কিন্তু সময়স্বল্পতা এবং নিউজরুমের বাধা থাকার কারণে তাঁরা সব ইঙ্গিত অনুসরণ করতে পারেন না। তবু শক্তিশালী ওয়াচডগ রিপোর্টিং করার ক্ষেত্রে অপরাধ, স্বাস্থ্য বা পরিবেশের মতো বিটে প্রতিদিনকার খবরের পেছনে ছোটা রিপোর্টাররাই লোক ও সম্পদবলে বলীয়ান অনুসন্ধানী ইউনিটের চেয়ে ভালো অবস্থানে থাকেন। কারণ, তাঁরা বিষয়টি বোঝেন এবং ভেতরকার সোর্সদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে সম্পর্ক রাখেন। ইউএসএ টুডের প্রতিবেদক কেনি জ্যাকোবি বলেছেন, টেক্সট এক্সপ্যান্ডারের মাধ্যমে তিনি এক ঘণ্টার মধ্যে ৫০টি পাবলিক রেকর্ডের অনুরোধ পাঠাতে পারেন। অভিজ্ঞ সাংবাদিকেরা বলছেন, এমন রিপোর্টারদের জন্য সর্বোত্তম সমাধান হলো, তাঁদের মূল দৈনন্দিন কাজের পাপাপাশি পার্টটাইম হিসেবে হলেও অনুসন্ধানী রিপোর্টের প্রতি মনোযোগ দেওয়া এবং এমন অনেক “আধার ছড়িয়ে রাখা,” যেন যেকোনোটি ধরে অনুসন্ধান এগিয়ে নেওয়া যায়। এ জন্য দরকার হলো নিজের সময় ও গবেষণাকে গুছিয়ে রাখা এবং সময় বাঁচানোর জন্য প্রয়োজনীয় টুলের সাহায্য নেওয়া।

ইনভেস্টিগেটিভ রিপোর্টার্স অ্যান্ড এডিটরস আয়োজিত ২০২১ সালের আইআরই সম্মেলনের একটি প্যানেলে ইউএসএ টুডে এবং দক্ষিণ টেক্সাসভিত্তিক স্পেনীয় ভাষার টিভি স্টেশন টেলিমুন্ডো ফর্টির সাংবাদিকেরা এমন এক ডজন টুলের সন্ধান ও পরামর্শ দিয়েছেন, যা তাঁদেরকে বিটের কাজের পাশাপাশি অনুসন্ধানও চালিয়ে যেতে সহায়তা করছে। এই আলোচনার মডারেটর ছিলেন মিনিয়াপোলিস স্টার ট্রিবিউনের ডেটা এডিটর মেরিজো ওয়েবস্টার। তিনি বলেন, বিটের মধ্যে থেকে সফল অনুসন্ধানী প্রকল্প করার সাধারণ কৌশল হলো: অসংখ্য পাবলিক রেকর্ডের জন্য অনুরোধ, কাজ গুছিয়ে রাখার সক্ষমতা এবং প্রতিদিনের সাক্ষাৎকার শেষে একটি বাড়তি প্রশ্ন করা। প্রশ্নটি হতে পারে খুব সহজ, “আপনার জগতে এমন কী ঘটছে, যা ঘটার কথা নয়?” ওয়েবস্টার বলেন, “বিট রিপোর্টার হিসেবে আপনাকে প্রতিদিন অনেক জিনিস নিয়ে লোফালুফি করতে হয়, কিন্তু সফল হন তাঁরাই, যাঁরা হাত গুটিয়ে নিজেকে গুছিয়ে রাখার চেষ্টা করেন।” তাঁর মতে, আপনাকেই ভেবে নিতে হবে, “কাজের চাপে ডুবে যাওয়ার আগে, ইনডেপথ স্টোরির জন্য আপনি কীভাবে প্রতিদিন ৩০ মিনিট সময় আলাদা করে রাখবেন?” যে দেশগুলোতে সাংবাদিকেরা নজরদারিতে থাকেন বা যেখানে কর্তৃপক্ষ সাংবাদিকদের সরঞ্জাম জব্দ করে, সেখানে তাঁরা ভেরাক্রিপ্ট দিয়ে তথ্যকে সুরক্ষিত করতে পারেন। সময়স্বল্পতায় থাকা সাংবাদিকদের জন্য তাঁর পরামর্শ হলো: হাতে আসা তথ্যগুলোকে গুগল শিটে পিভট টেবিল ব্যবহার করে দ্রুত বিশ্লেষণ করে ফেলা এবং সেই তথ্যের প্রবণতা ও নির্দেশকগুলোকে শনাক্ত করা। কেনি জ্যাকোবি, ইউএসএ টুডের হয়ে গণ-সুরক্ষা ও ফৌজদারি ন্যায়বিচারের ঘটনা কাভার করেন। তিনি বলেন, আপনার অ্যাসাইনমেন্ট সম্পাদকের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে প্রক্রিয়াটি শুরু হবে, যেখানে আপনি গল্পের সম্ভাবনাটি “বিক্রি” করবেন এবং তাঁকে রিপোর্টটির জন্য সময় দিতে এমনভাবে রাজি করাবেন, যাতে বিটের কাজের ক্ষতি না হয়। কাজের ফাঁকে অনুসন্ধানের জন্য জ্যাকোবির পরামর্শ হলো: থিংস অ্যাপের মতো কোনো ব্যক্তিগত টাস্ক ম্যানেজারের সাহায্য নিয়ে আপনার “টু-ডু-লিস্ট” ম্যানেজ করুন। “এই প্রোগ্রাম আপনাকে নির্দিষ্ট কাজের দিন-তারিখ ঠিক করা, সেটি শেষ হয়ে গেলে মার্ক করা এবং কাজের ধরন অনুযায়ী ট্যাগ করারও সুযোগ করে দেয়,” তিনি বলেন। সাক্ষাৎকারে সময় বাঁচানোর জন্য ওটার বা পিয়ার নোটের মতো স্বয়ংক্রিয় ট্রান্সক্রিপশন টুল ব্যবহার করুন। তিনি বলেন, “আমি বলতে গেলে সব সাক্ষাৎকার শেষ করার পরই তার প্রতিলিপি করি এবং আমি স্বয়ংক্রিয় সফটওয়্যার ব্যবহার করি, যা আমাকে কন্ট্রোল-এফ [অনুসন্ধান কমান্ড] ব্যবহার করতে দেয় এবং যখন আমি অডিওটি আবার চালাই, তখন সে আমাকে কথোপকথনের ঠিক সেই মুহূর্তে নিয়ে যায়।” টেক্সটএক্সপ্যান্ডার বা অটো-হট-কি ধাঁচের ওপেন সোর্স টুলের সাহায্যে নিজেই একাধিক নথির জন্য অনুরোধ বা জরিপ পরিচালনা করুন। তিনি বলেন, “এটি আমাকে এক ঘণ্টার মধ্যে ৫০টি অনুরোধ প্রেরণ করতে দেয়।” আগে লিখে রাখা টেক্সটকে আবেদনে রূপান্তর করে একসঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব এজেন্সি বা কর্মকর্তার নাম বরাবর পাঠাতে সাহায্য করে টেক্সটএক্সপ্যান্ডার। জ্যাকোবি বলেছেন, এর ফলে তথ্যের জন্য গণ-অনুরোধ পাঠানোর সময় ভুলের শঙ্কা কমে যায়। অনুসন্ধান করছেন এমন সংস্থায় কর্মকর্তা পর্যায়ে বা অন্য ক্ষেত্রে পরিবর্তনের খবর পেতে অ্যালার্ট সেট করুন। জ্যাকোবি যে সংস্থা নিয়ে অনুসন্ধান করছিলেন, সেখানকার স্টাফ ডিরেক্টরি থেকে কোনো কর্মকর্তার নাম সরিয়ে ফেলা হলেই অ্যালার্ট মেসেজ পেয়ে যেতেন স্বয়ংক্রিয়ভাবে। এ জন্য তিনি একটি বেসিক পাইথন প্রোগ্রাম ব্যবহার করেছিলেন। একবার এক ব্যক্তির পদত্যাগের ঘটনা তাঁর রিপোর্টিংয়ের নতুন মোড় তৈরি করেছিল এবং এরপর আরও অনেক সোর্স কথা বলতে আগ্রহী হয়ে উঠেছিলেন। আপনাকে পরিবর্তনের বিষয়ে সতর্ক করার জন্য অন্যান্য টুলের মধ্যে আছে: ফলো দ্যাট পেজ এবং মার্শাল প্রকল্পের ক্ল্যাক্সন। আপনার অনুসন্ধানের অগ্রগতি সম্পর্কে আপনার বিটের সোর্সদের অবহিত করুন। অনুসন্ধানী দলগুলো সাধারণত গবেষণা পর্যায়ে তাদের আইডিয়া গোপন রাখতে পছন্দ করে, যাতে অন্যরা খবর না পায়, অথবা সতর্ক হয়ে যায়। জ্যাকোবি বিশ্বাস করেন, বিট সাংবাদিকদের ক্ষেত্রে তাঁদের প্রাথমিক সোর্সদের সঙ্গে অগ্রগতি শেয়ার করলে বিশেষ কিছু সুবিধা পাওয়া যায়। তিনি ব্যাখ্যা করে বলেন, “তাঁদেরকে অবগত রাখলে তাঁরা তাঁদের মূল্যবান বলে মনে করেন এবং পরেরবার ভেতরকার তথ্য দিয়ে আপনাকে সহায়তা করতে আগ্রহী হয়ে ওঠেন।” তাঁর মতে, “পাওয়ার জন্য দেওয়া জরুরি।” লুশার মতো টুল দিয়ে লিংকডইনে কোনো প্রতিষ্ঠানের সাবেক কর্মী ও তাঁদের মধ্যকার সংযোগ খুঁজুন। লুশা ক্রোম এক্সটেনশন একটি ফ্রি প্রোগ্রাম, যা লিঙ্কডইন এবং টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে পারস্পরিক যোগাযোগের তথ্য সংগ্রহ করে। যেকোনো সংস্থার সাবেক কর্মীদের কাছে পৌঁছাতে এটি সাংবাদিকদের সহায়তা করতে পারে। যাহোক, বিট সাংবাদিকদের সময়-সীমাবদ্ধতার পরিপ্রেক্ষিতে জ্যাকোবি বলেছেন, তাঁরা করপোরেট ডিরেক্টরি ঘেঁটে কর্মীদের “নির্লজ্জের মতো” সরাসরি ইমেইল করতে এবং তাঁদেরকে সিগন্যালের মতো এনক্রিপ্ট করা চ্যানেলের মাধ্যমে জবাব দেওয়ার আমন্ত্রণ জানাতে পারেন। সম্ভাব্য প্রাপ্তি বিশাল না হলে “খড়ের গাদায় সুই খোঁজা” থেকে বিরত থাকুন। বিট সাংবাদিকেরা প্রায়শই অনুসন্ধান করার মতো বিষয় শনাক্ত করেন, যখন তাঁরা বিটে কাজ করার অভিজ্ঞতা থেকে সেখানে কোনো অস্বাভাবিকতা দেখতে পান। তবে জ্যাকোবি বলেছেন, সন্দেহকে সত্য প্রমাণ করার জন্য পর্যাপ্ত নথি বা প্রমাণ পেতে কত সময় লাগবে, আগে সেটি যাচাই করে নেওয়া দরকার। তারপর দেখতে হবে, এত সময় লাগিয়ে অনুসন্ধান করে আসলেই কত বড় ফল পাওয়া যাবে। তিনি বলেন, এই স্টোরিগুলোর পেছনে ছোটা তখনই সার্থক হতে পারে, যখন আপনি দেখবেন, সেখানে শেষ পর্যন্ত ব্লকবাস্টার কিছু খুঁজে না পেলেও অন্তত প্রকাশ করার মতো ছোট স্টোরি পাওয়া যাবে। টেলিমুন্ডো ৪০-এ অভিবাসন নিয়ে রিপোর্ট করেন আনা সিসিলিয়া মেন্ডেজ। তিনি বলেন, বিট সাংবাদিকদের উচিত তাঁদের নিউজরুমে নির্দ্বিধায় সাহায্য চাওয়া; তা সে তথ্য অধিকার আইনে আপিলের জন্য হোক, অথবা বড় পরিসরের স্টোরির জন্য সহযোগী খুঁজে পেতে। কাজের পাশাপাশি অনুসন্ধানের জন্য মেন্ডেজের পরামর্শ হলো: অনুসন্ধানের জন্য আলাদা করে রাখা সম্ভাব্য দিনগুলো ক্যালেন্ডারে হাইলাইট করুন এবং রিমাইন্ডার সেট করুন। দৈনন্দিন কাজের ফাঁকে অনুসন্ধানের বেশির ভাগ উপাদানের জন্য সময় বের করা কঠিন না-ও হতে পারে। মেন্ডেজ বলেছেন যে আপনাকে নিজের এবং আপনার বার্তা সম্পাদকের জন্য অনুসন্ধানের একেকটি মাইলফলক সম্পর্কে রিমাইন্ডার সেট করে রাখতে হবে। যেমন: অনুসন্ধানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কোনো মামলার শুনানি কবে। অনুসন্ধানী প্রকল্পের সাক্ষাৎকারের সময়ের সঙ্গে প্রতিদিনকার ডেডলাইনের যত বেশি সম্ভব ব্যবধান রাখুন। মেন্ডেজ বলেছেন, অনুসন্ধানী রিপোর্টের জন্য আগেই ঠিক করে রাখা সাক্ষাৎকার হঠাৎ করেই বাতিল করে দিতে হতে পারে। কারণ, হয়তো আপনার বিটে ব্রেকিং কোনো ঘটনা ঘটে গেছে। এমন সম্ভাবনা সম্পর্কে সোর্সদের আগেই অবহিত করে রাখুন। তিনি আরও বলেন, যত দূর সম্ভব দৈনিক ডেডলাইন থেকে অনুসন্ধানী কাজের পরিকল্পনার ফারাক রাখুন। যেমন: প্রতিদিনের রিপোর্ট জমা দেওয়ার সময়সীমা যদি বিকেল ৫টা হয়, তাহলে অনুসন্ধানের জন্য সকাল ৯টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করুন। আউটলুক নোটের মতো টুলের মাধ্যমে, যেসব সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়ে গেছে এবং তাদের লিঙ্কযুক্ত ক্যালেন্ডারের ট্র্যাক রাখুন। খণ্ডকালীন অনুসন্ধানে একেকটি সাক্ষাৎকার নেওয়ার মধ্যকার সময় দীর্ঘ হতে পারে। “তিন বছর ধরে আউটলুক আমার সেরা বন্ধু,” তিনি ব্যাখ্যা করে বলেন। “কোথায় এবং কখন আমি সেই ব্যক্তির সঙ্গে দেখা করেছি এবং কখন তার সঙ্গে আবার কথা বললাম, কাজের সময়সীমা, আদালতে শুনানির তারিখ এবং অনুসন্ধানের উপাদান—সবকিছু আমি আউটলুকে লিপিবদ্ধ করে রাখি। ” মেন্ডেজ বলেন, অনলাইন অর্গানাইজিং টুলে দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্প এবং দৈনন্দিন কাজের মধ্যে পার্থক্য করতে সহায়তা করে কালার কোডিং। আইআরই২১-এর একটি আলাদা অধিবেশনে, নিউইয়র্ক টাইমসের অনুসন্ধানী সাংবাদিক ম্যাট আপুৎসো কাজ গুছিয়ে রাখার টুলের বিবরণ দেন, যা সাংবাদিকদের জন্য সমান্তরাল অনুসন্ধান পরিচালনা, দৃশ্যায়ন এবং আইডিয়ার ম্যাপিং তৈরির কাজকে সহজ করে। আপুৎসো বলেন, সাধারণ ওয়েবভিত্তিক ওয়ার্কফ্লো টুলগুলো আপনার রিপোর্টিংকে সহজ করে তুলতে পারে। নিছক ফোল্ডারে সীমাবদ্ধ না থেকে, ইন্টারঅ্যাক্টিভ নোটের মাধ্যমে এটি আপনাকে গোটা প্রক্রিয়া একসঙ্গে দেখতে সাহায্য করে। “আমি আমার সমস্ত নোট সেখানে রাখি,” বলেন আপুৎসো। “এটি দুর্দান্ত, আপনি আপনার সমস্ত নোট ট্যাগ করতে পারবেন, আপনি ইউআরএল এমবেড করতে পারেন, এবং যখন আমার কোনো তথ্য প্রয়োজন হয়, ট্যাগ দিয়ে সেটি অনুসন্ধান করা সহজ হয়।” “বিট রিপোর্টার হিসেবে আপনাকে অনেক জিনিস যাচাই করতে হয় এবং সফল তাঁরাই হন, যাঁদের হাতার ভাঁজে সেই কৌশলগুলো থাকে …” —মিনিয়াপোলিস স্টার ট্রিবিউনের মেরিজো ওয়েবস্টার। একসঙ্গে এত কাজ করতে হয় বলে বিট রিপোর্টারদের করণীয়-তালিকা অন্যদের তুলনায় আরও বিশদ হতে হয়, বলেন ওয়েবস্টার। যেসব দেশে সাংবাদিকেরা নজরদারির ঝুঁকিতে থাকেন বা তাঁদের ডিভাইস ও তথ্য দমনকারী কর্তৃপক্ষ জব্দ করে নেয়, সেখানকার রিপোর্টাররা নোটের পরিকল্পনা এবং সোর্সদের বিবরণ নিরাপদে রাখতে প্রোটনক্যালেন্ডার বা সিগন্যালের মতো এনক্রিপ্ট করা টুল ব্যবহার করে দেখতে পারেন। তাঁরা ভেরাক্রিপ্ট টুল দিয়ে টু-ডু-লিস্টের ফোল্ডারগুলোকে সুরক্ষা দিতে পারেন এবং সেসব ফোল্ডার ছদ্মনামে ঢেকে রাখতে পারেন, যাতে কোনো ডিভাইস ভুল হাতে পড়লেও সেগুলো নজরের আড়ালে থাকে। যেখানে নিরাপদ পরিবেশ আছে, সেখানে কার্যতালিকায় সুনির্দিষ্ট ও বিশদ বিবরণ রাখার পরামর্শ দিয়েছেন ওয়েবস্টার। তিনি বলেন, “সোর্সকে কল করতে হবে”—এজাতীয় অস্পষ্ট কিছু লেখার পরিবর্তে বিশদ আইটেম লিখুন, যেমন ‘জন স্মিথকে কল করতে হবে’, বা ‘এক্স সম্পর্কে ২০১৯ সালের সেই প্রতিবেদনটি সন্ধান করতে হবে।” “যদি আমার কাছে করণীয়ের তালিকাটি খুব অস্পষ্ট থাকে, তখন একটি কাজ দেখলে মনে হয়, ‘আহা, আমার হাতে তো মাত্র ১৫ মিনিট সময় আছে, এই সময়ে তো সেটি করা সম্ভব নয়’; আর আমি যদি সুনির্দিষ্ট তথ্য দেখতে পাই, তাহলে মনে হয়: ‘ওহ, আমি তো এখনই তা করতে পারি।’” ওয়েবস্টার বলেন, সম্পাদকদের কাছে বিট সাংবাদিকদের পিচগুলো খুব নির্দিষ্ট হওয়া দরকার এবং পিচ করার আগে তাঁদের রিপোর্টটি নিয়ে কাজের জন্য দু-এক দিন সময় চাওয়া উচিত। মেন্ডেজ মনে করেন, সর্বোপরি, বিট রিপোর্টারদের উচিত, ব্যক্তি-সোর্সের সঙ্গে তাঁদের সম্পর্কের যে আলাদা শক্তি রয়েছে, তার সদ্ব্যবহার করা। মেন্ডেজের পরামর্শ এমন: “চেনা সোর্সের সঙ্গে নিছক বন্ধুত্বপূর্ণ আলাপই করুন, এবং তাঁরা হয়তো বলতে পারেন, ’জানেন, আমার বিভাগে নয়, তবে আমি শুনেছি যে আরেক দপ্তরে ঠিক এমন কিছু ঘটছে; তারপর আপনি সেই ঘটনার পেছনে ছুটুন।”